ঈদ-উল -আযহা আসন্ন। মুসলিম ধর্মালম্বীদের ঈদের মাত্র দুই দিন বাকি।মহামারি করোনা কারণে কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।ঈদের কারনে মার্কেটগুলো খুলে ব‍্যস্ত ব‍্যবসায়।কেনাকাটায়ও ব‍্যস্ত সর্বস্তরের মানুষ।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মার্কেট গুলোতে উপছে-পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে বিলাসিতার নামে কুরবানি ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে ফ্রিজের চাহিদা।অনেকেই পশুর মাংস সংরক্ষণ করবেন ফ্রিজে। এরই কারণে ফ্রিজের শোরুম গুলিতে বেড়েছে ফ্রিজ ক্রয়-বিক্রয় এর হিড়িক।

বাঘা উপজেলার বিভিন্ন ফ্রিজের শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন, মার্সেল, সিঙ্গার, স্যামসাং, ট্রান্সটেক, যমুনা এবং বিদেশি ব্র্যান্ডের ওয়ার্লপুল, হিটাচি ও এলজির মত নামি কোম্পানিগুলো বাজারে নিয়ে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন রঙ ও আকর্ষণীয় মডেলের ফ্রিজ। এর মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এর ফ্রস্ট ও ননফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে নন ফ্রস্ট ফ্রিজের তুলনামূলক চাহিদা বেশি দেখা গেছে। ক্রেতারা তাদের রুচি, পছন্দ এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ফ্রিজ ও ফ্রিজার কিনছেন। ঈদের দিনকে সামনে রেখে ফ্রিজের বিক্রিও বেড়েছে বলে জানান শোরুম গুলির মালিকগন।

এক ফ্রিজ বিক্রেতা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পরও ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে এবার উপজেলাতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে। তাদের শো-রুমে ১শত লিটার থেকে ৪শত লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ওজনের ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দের থেকে দুইশত লিটার ওজন ধারণক্ষমতার ফ্রিজ ও ডিপ ফ্রিজের বিক্রি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে।

উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার হতে এক ফ্রিজ ক্রেতা সাজেদা বেগম বলেন, কুরবানী ঈদে বিশেষ অফার দেয় ফ্রিজের দোকানদার। সেই কারণে ফ্রিজ কিনতে এসেছি এবং পছন্দ ও টাকা অনুযায়ী ওয়াল্টন ফ্রিজ কিনলাম।

ফ্রিজ কিনতে এসেছেন সুলতানপুর এলাকার আঃসালাম জানান, বাসায় একটি ফ্রিজ আছে। তবু কুরবানীর মাংস সংরক্ষণ করতে ড্রিপ ফ্রিজ প্রয়োজন। পছন্দ হয়েছে দামও একটু বেশি মনে হচ্ছে।একটু কম হলেই আজকেই কিনে ফেলবো।

বাঘা শাখা ওয়াল্টন শোরুম এর শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মাজেদুর রহমান বলেন, অন্যান্য মাসের তুলনায় সবচেয়ে বেশি রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজ) ও ফ্রিজার (ডিপ ফ্রিজ) বিক্রি হয় কুরবানির ইদে। গত ১সপ্তাহে বাঘা শাখা ওয়াল্টন শোরুম হতে আমরা এবার প্রায় ২শত ৫০টি ফ্রিজ বিক্রয় করেছি।তবে নগদ ও কিস্তিতে বিক্রয় হচ্ছে আমাদের এই শোরুমে।